Chevening Scholarship 2026

যুক্তরাজ্যের চেভেনিং স্কলারশিপ উচ্চশিক্ষার জন্য একটি অত্যন্ত সম্মানজনক ও ফুল ফান্ডেড বৃত্তি। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী তরুণদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যারা এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে চান। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে চেভেনিং বৃত্তির জন্য আবেদন শুরু হয়েছে এবং শেষ তারিখ আগামী ৭ অক্টোবর। আরও বিস্তারিত জানতে আপনি চেভেনিং স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট chevening পরিদর্শন করতে পারেন।

চেভেনিং বৃত্তির সুবিধাসমূহ:

  • ফুল ফান্ডেড বৃত্তি, যার মধ্যে টিউশন ফি, বিমান টিকিট, বাসস্থানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধা মঞ্জুর করা হয়।
  • যুক্তরাজ্যের ১৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার সুযোগ।
  • নেতৃত্বগুণ এবং নেটওয়ার্কিং এর উন্নতি।

চেভেনিং বৃত্তি কি?


চেভেনিং বৃত্তি মূলত পেশাজীবীদের জন্য নির্ধারিত একটি উচ্চমানের স্কলারশিপ। আবেদনকারীদের দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। তবে, শুধুমাত্র পূর্ণকালীন চাকরি নয়, ছাত্রজীবনে করা ইন্টার্নশিপ বা পার্টটাইম কাজও গ্রহণযোগ্য। এটি এমন একটি সুযোগ যা উন্নয়ন সংস্থা, স্বাস্থ্য, আইন, সরকারি চাকরি, এবং যুব কার্যক্রম সহ নানা পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত।

চেভেনিং বৃত্তি অনেক সময় পেশাদার সাংবাদিকদেরও দেয়া হয়, কিন্তু অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তবে, চেভেনিং কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলোকে বৃত্তি প্রদানের জন্য গুরুত্ব দেয়, সেগুলোও তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা আছে।

চেভেনিং বৃত্তির আবেদনকারী যেসব সুবিধা পাবেন:

  • এক বছরের পূর্ণকালীন স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম।
  • যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ।
  • আন্তর্জাতিক মানের নেতৃত্বের উন্নয়ন ও প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক গঠনের সুযোগ।
  • সব খরচসহ (টিউশন ফি, বিমানের টিকিট, বাসস্থান) ফুল ফান্ডেড সুবিধা।

চেভেনিং বৃত্তি নিয়ে কিছু অতিরিক্ত তথ্য:

  • নেতৃত্ব ও প্রভাব: চেভেনিং বৃত্তি একটি নেতৃত্ব ভিত্তিক স্কলারশিপ, তাই আবেদনকারীর নেতৃত্বের গুণাবলী এবং নিজের দেশে বা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব রাখার ক্ষমতা মূল্যায়ন করা হয়।
  • যেসব পেশার লোকজন বেশি সফল হন: সরকারি চাকুরে, উন্নয়ন সংস্থা কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক, এবং যেসব পেশায় ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে, তাদের জন্য চেভেনিং বৃত্তির সম্ভাবনা বেশি।
  • দেশে ফিরে দুই বছর কাজ: বৃত্তি শেষ করার পর শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরে এসে অন্তত দুই বছর কাজের অঙ্গীকার করতে হয়।

চেভেনিং বৃত্তির যোগ্যতা:


চেভেনিং বৃত্তির জন্য আবেদনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হয়:

  • স্নাতক পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের ডিগ্রি।
  • দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

চেভেনিং বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া:

  • আবেদনের জন্য সব তথ্য সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।
  • আবেদনকারীর এনট্রান্স কোর্সের অফার লেটার যোগ করতে হবে।
  • আবেদনকারীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে, এবং চেভেনিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
  • প্রাথমিক নির্বাচনের পর ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত নির্বাচন হবে।

চেভেনিং বৃত্তির আবেদন করতে যা মনে রাখতে হবে:

  1. সব তথ্য সঠিকভাবে ও যথাযথভাবে প্রদান করুন।
  2. নেতৃত্বের গুণাবলী, নেটওয়ার্কিং দক্ষতা এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বজায় রাখার ক্ষমতা বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
  3. সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সুবিধা থাকতে পারে।
  4. চেভেনিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

চেভেনিং বৃত্তির আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন: Chevening

এই সুযোগটি হাতছাড়া না করে, আপনার নেতৃত্বগুণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন পূরণ করুন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *